Saturday, January 4, 2014

হাজার দ্বীপের দর্শনে
পায়েল চক্রবর্তী
(মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)
হাতে কোনও লম্বা ছুটি ছিল না। কিন্তু পথের টান আটকায় কে! অনেক দিন আগে জনপ্রিয় এক হিন্দি ছবিতে দ্বীপে হারিয়ে যাওয়ার একটি দৃশ্য দেখেছিলাম। ভেবেছিলাম সুযোগ পেলে এক দিন ঠিক ঘুরতে যাব কোনও এক দ্বীপে। ভাবনা সত্যি করে, বিদায়ী এক বসন্ত-সকালে আমরা বেরিয়ে পড়লাম, গন্তব্য উত্তর আমেরিকার ‘থাউজ্যান্ড আইল্যান্ড’।
চওড়া-চিকন রাস্তায় চকচকে রোদের আলোয় চটুল ছন্দে ছুটল গাড়ি। আমাদের বাড়ি অর্থাত্ নিউ জার্সির সামারভিল থেকে প্রায় ৪০০ মাইলের পথ থাউজ্যান্ড আইল্যান্ড। বেরিয়েছিলাম ভোর ৫ টায়। ৮ ঘণ্টার পথে, মিনিট দশেকের দু’বার বিশ্রাম। ধন্যবাদ জিপিএস প্রযুক্তিকে। পথ হারানোর ভয় নেই। সিডি প্লেয়ারে পছন্দের গান শুনতে শুনতে এক সময় পৌঁছে গেলাম দ্বীপরাজ্যে! গাড়ি থেকে নামতেই এত নিষ্কলুষ পরিবেশ দেখে কর্তামশাই বেশ রোম্যান্টিক ভাবে গান ধরলেন, ‘দেখো রে, নয়ন মেলে জগতের বাহার...’। ঝলমলে রোদ আর চারদিকে সবুজের সমারোহ— প্রকৃতি যেন সর্বাঙ্গসুন্দর। আগে থেকে রিজার্ভ করা রিসর্টে লাগেজ রেখে একটু বিশ্রাম নিয়েই বেরিয়ে পড়লাম। একসঙ্গে এত দ্বীপ দেখতে পাওয়ার আনন্দ তখন আমাদের মনে জেঁকে বসেছে।
কানাডার অন্টারিও প্রদেশ ও উত্তর আমেরিকার নিউ ইয়র্ক রাজ্যের বর্ডারে ৪০ বর্গ মাইল জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ১৮৬৪টি দ্বীপ নিয়ে থাউজ্যান্ড আইল্যান্ড। কানাডা এবং উত্তর আমেরিকার সভ্যতা-সংস্কৃতি যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে সেন্ট লরেন্স নদীর জলে। অনেকগুলি দ্বীপে তৈরি হয়েছে বিলাসবহুল রির্সট আর তার সঙ্গে আছে বিনোদনের ভরপুর 

No comments:

Post a Comment